s স্বাবলম্বী বাংলাদেশ - তবে একলা চলরে: September 2015

Sep 6, 2015

খামারিদের ঋণ প্রাদানে উৎসুক ব্যাংক

খামারিদের ঋণ প্রাদানে উৎসুক ব্যাংক

খামারিদের ঋণ প্রাদানে উৎসুক ব্যাংক।


দুধের চাহিদা পূরণে খামারিদের ঋণ মাত্র ৫ শতাংশ সুদে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য ২০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় ১২টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ঋণ বিতরণের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন। ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চুক্তি করে।


চুক্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক এবং সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, আনসার ভিডিপি ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডর প্রধান নির্বাহীরা সই করেন। অনুষ্ঠানে গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, দেশে দুধের মোট চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ উৎপাদন হয়। বাকি ৮০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আমদানিনির্ভরতা কমাতে সরকার ক্ষুদ্র প্রান্তিক খামারিদের ঋণ তহবিল ২০০ কোটি টাকার মাধ্যমে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, সৃজনশীল এ প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন হলে দেশ দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে এবং মানুষের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে। এ ঋণ বিতরণ করতে প্রকৃত ও নারী খামারিদের অগ্রাধিকার দেয়ার নির্দেশ দেন গভর্নর। তিনি বলেন, এতে নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান বাড়বে। আতিউর রহমান বলেন, সম্ভাবনাময় এ প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে পরে বাজেট আরও বাড়ানো হবে। টেকসই অর্থায়নের অংশ হিসেবে উৎপাদনশীল খাতে টাকা দিচ্ছে সরকার। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য উন্নয়নমুখী কর্মতৎপরতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। সভাপতির বক্তব্যে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর ৪০০ কোটি টাকার দুধ আমদানি করতে হয়। প্রকৃত খামারিদের ঋণ দেয়া হলে দুধের সংকট ক্রমেই কমে আসবে। আমদানিনির্ভরতাও কমবে। এজন্য কৃত্রিম প্রজনন ও গাভী পালনকারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ ঋণ দিতে হবে। প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সোনালী, জনতা, রূপালী, আনসার ভিডিপি, আইএফআইসি ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।


গাভী পালন, গাভী ক্রয় ও কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে শংকর জাতের গাভী পালনের জন্য বিদ্যমান ঋণ সুবিধার পাশাপাশি এ খাতে অধিকতর ঋণপ্রবাহ নিশ্চিত করতে ৫ বছর মেয়াদি (নবায়ন-আবর্তন যোগ্য) ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকগুলো। একজন গ্রাহক ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। চলতি মাস থেকেই এ ঋণ বিতরণ শুরু হবে।


সুত্রঃ mzamin.com/details.php?mzamin=OTExMzQ=&s=Nw==



খামারিদের ঋণ প্রাদানে উৎসুক ব্যাংক

Sep 1, 2015

গলা ফোলা - Hemorrhagic Septicemia

গলা ফোলা - Hemorrhagic Septicemia

গলা ফোলা – Hemorrhagic Septicemia


গলা ফোলা রোগের কারনঃ ব্যাক্টেরিয়া জনীত জটিল রোগ।


প্রচলিত নামঃ গলা ফোলা বা Hemorrhagic Septicemia আমদের দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন; ধড়কা, বিশাল বাও, বিশেষ সিকা, বাতাস লাগা।


গলা ফোলা বা Hemorrhagic Septicemia রোগের লক্ষনঃ


  1. পশুর তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায় ১০৩o F ১০৭o F(৫৫৪ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৫৭৬ডিগ্রি)

  2. পশুর ঘাড় ও মাথা ফুলে যায়।

  3. পশু মাথা নিচু করে রাখে ও ঘাড় নাড়াচাড়া করে না।

  4. পশু খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়।

  5. পশু চরম আকারে আক্রান্ত হলে ৪৮-২৪ ঘন্টায় পশু মারা যাবে।

  6. সাধারনত বর্ষার পুর্বে অধিক পরিশ্রম করালে, খাবার দাবার অপর্যাপ্ত হলে বিশ্রাম কম হলে এ রোগ দেখা দেয়।

গলা ফোলা রোগের চকিৎসাঃ


১) ইঞ্জেকশান প্রোনাধেন ৪০ লাখ মাংশে প্রতি ৭৫-১০০ কেজি দৈহিক ওজন এর জন্য প্রথম ১২ ঘন্টা পর পর ১০ মিলিঃ করে ২বার। পরবর্তিতে ২৪ ঘন্টা পর পর প্রতিদিন একই মাত্রা ৩-৫ দিন


২) OR কম্প্রিভেট ৪০ লাখ একই মাত্রা


৩) OR রেনামাইসিন এল.এ. একই মাত্রা।


পাশপাশি


১) ইঞ্জেকশান হিস্টাভেট / ফ্লুগান / ডিলারজেন – ৭৫-১০০ কেজি bwt এর জন্য ৫ মিলি. করে মাংশে ৩-৫ দিন।


তড়কা রোগের প্রতিরোধঃ


  • ভ্যাকসিন – পশুকে ৬ মাস পর পর টিকা দিয়ে রাখতে হবে।


গলা ফোলা - Hemorrhagic Septicemia