s স্বাবলম্বী বাংলাদেশ - তবে একলা চলরে: July 2014

Jul 23, 2014

ভাঙছে পদ্মা কাঁদছে মানুষ !!

পদ্মাপাড়ের মানুষ কাঁদছেন আর বলছেন, ‘নদীর এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে এইতো নদীর খেলা। আমাগো কপাল প্রতি বছরই ভাঙে, আর গড়ে না।’ গতকাল দুপুরে রৌদ্রের তাপদাহে নিজের বসতভিটা থেকে নিজেদের থাকার ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সময় অশ্রুসিক্ত ছল ছল চোখে এমনটাই জানালেন দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বাহ্রা স্কুলের দক্ষিণ পাশে সর্বনাশী পদ্মার ভাঙ্গনে নিঃস্ব আবদুস সালাম। এ বছরও পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন আতঙ্ক শুরু হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মধ্যে অরঙ্গাবাদ, পানকুন্ডু, ধোয়াইর, বাহ্রা পদ্মা ভাঙনে প্রায় নিশ্চিহ্ন। গত বছর উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এবং বিলাশপুর ও সুতারপাড়া ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মায় ভিটেমাটি হারানো পূর্ব ধোয়াইর গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন জানান, এ বছরও প্রতিদিন পদ্মায় ভাঙনের ফলে পদ্মাপারের অসহায় পরিবারগুলো পাড়ি জমাচ্ছেন অনত্র্য। গত বছর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান পদ্মায় ভাঙন রোধে বাঁধ দেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও বিগত সরকারের পাঁচ বছরের শাসনামলে তিনি তার অঙ্গিকার পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘এমনি করে সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু আমাগো ভাগ্য বদলায় না ভাই’। ভাঙনের শিকার হয়ে বসতবাড়িসহ ভিটামাটি হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলোর অসহায় চেহারাগুলোর দিকে তাকালেই চোখে পানি এসে যায়। সেই সঙ্গে রাস্তাঘাট, মসজিদ, মন্দির, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য অনেক মূল্যবান স্থাপনা পদ্মার পেটে হারিয়ে গেছে ও এখনও যাচ্ছে। পদ্মা ভাঙন রোধ না করায় প্রতিদিনই দোহারের মাত্রচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বসতভিটা হারানো বৃদ্ধা জমিলা খাতুন বলেন ‘সবাই শুধু নির্বাচন আইলে পদ্মায় বাঁধ দিবার কতা কইয়া আমগো কাছে ভোট চায়। কিন্তু পাস করলি আর খবর লও না বাপ। তুমরা কাগজে লিখা আর কি করবা, আমগো ভাগ্য লিখনতো আর বদলাতি পারবা না।’
গত ১২/১৫ দিন যাবত পদ্মায় পানি বাড়ার ফলে বাহ্রা স্কুলের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বেশ কিছু বাড়ি ঘর ভেঙে গেছে। আর সেখানে অবস্থানরত অনেকেই অন্যত্র সরে গেছেন। আবার কেউ কেউ কিছু দিনের মধ্যে ভাঙনের সম্ভাবনা থাকায় বসত ঘর ভেঙে অনত্র্য যাওয়ার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছেন। তাই খোলা আকাশের নিচে প্রখর রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলছে তাদের মানবেতর জীবনযাপন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দুই বছর যাবত উপজেলার এ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এমপি, মন্ত্রীরা পদ্মায় ভাঙনের শিকার এই অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে পদ্মা ভাঙ্গন রোধ করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আর এ নিয়ে রয়েছে পদ্মাপাড়ের অসহায় মানুষের মনে নানা ক্ষোভ। বিগত সময় ক্ষমতাসীন দলের এমপি, মন্ত্রীরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন, যেসব এলাকার লোক পদ্মার ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে আজ নিঃস্ব তাদের জন্য সরকারিভাবে আশ্রয়ণ প্রকল্প খোলা হবে এবং তাদেরকে স্থায়ীভাবে সরকারি জমি প্রদান করা হবে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি শুধু প্রতিশ্রুতিই রয়ে গেছে। ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি পদ্মা ভাঙন কবলিত অসহায় মানুষের। পাশাপাশি পদ্মার ভাঙন রোধেও ব্যাপকভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা মওসুম শুরু হওয়ার আগেই পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করে বলেন, এমনিতেই পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। তার ওপর আবার এখানে প্রতিদিন রাতে বড় বড় এক একটি তেলের জাহাজ এসে ভিড় জমায়। ফলে এই বড় বড় জাহাজের চাপে এবং পানির প্রবল ধাক্কায় পদ্মাপাড়ের অনেক অংশই ভেঙে পড়ছে। তারা বলেন, এ ব্যাপারে আমরা জাহাজ মালিকদের কিছুই বলতে পারি না। এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এসব জাহাজ এই স্থানে যেন না নিয়ে আসে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং বর্ষা মওসুমের শুরুতেই যেভাবে পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে যদি দ্রুত এই ভাঙন রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয় তবে দ্রুত নয়াবাড়ি ইউনিয়নসহ কুসুমহাটি ইউনিয়নের বিশাল অংশ বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


Courtesy: Manab Zamin



ভাঙছে পদ্মা কাঁদছে মানুষ !!

Jul 21, 2014

আমরা কজন



আমরা কজন

Jul 19, 2014

বিষমুক্ত চাষ - সেক্স ফেরোমন ফাঁদ

সবজি চাষে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দিনাজপুর। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই এ জেলায় কৃষকরা বিষমুক্ত বেগুন আবাদ করছেন। পোকা সংক্রমন দমনে সেক্স ফেরোমন ফাঁদের সাহায্যে বেগুন চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।


কৃষক তোফায়েল জানান, সেক্স ফেরোমন পদ্ধতিতে তিন বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করে ব্যাপক সাফল্য বয়ে পেয়েছেন। এ পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করায় ক্ষেতে পোকার আক্রমন হয়নি। বরং পেয়েছেন আশাতীত ফলন। আগামীতে আরো জমিতে একই পদ্ধতিতে বেগুন লাগাবেন।


তোফায়েলের সাফল্য দেখে জেলার অনেক কৃষক এ পদ্ধতিতে বেগুনসহ অন্যান্য সবজি চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।


সেক্স ফেরোমন ফাঁদের বিস্তারিত তুলে ধরে তোফায়েল জানান, জমির মধ্যে ছোট ছোট খুটি করা হয়েছে। তাতে প্লাস্টিকের বয়াম দু’পাশে কেটে ঝুলিয়ে রেখে তার মধ্যে দেয়া হয়েছে সাবান পানি। বয়ামের এই সাবান পানির গন্ধে স্ত্রী পোকাগুলো পুরুষ পোকাকে প্রজননের জন্য আহ্বান জানান। স্ত্রী-পুরুষ পোকাগুলো সে সময় বয়ামে প্রবেশ করলে মেশানো পানিতে পড়ে মারা যায়। এ কারনে এই বেগুনের ফসলি জমিতে স্প্রে করতে হচ্ছে না কীটনাশক।


জৈবিক বালাই দমনে সেক্স ফেরোমন ফাঁদের সাহায্যে বিষমুক্ত বেগুন চাষে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ।


কৃষিবিদ আনোয়ারুল আলম জানিয়েছেন, এক সময়ের অনাবাদি পতিত এসব জমিতে বেগুন চাষ করে যেমন জেলায় সবজি উৎপাদন বাড়ছে। তেমনি উৎপাদিত হচ্ছে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই বিষমুক্ত সবজি। এক দিকে যেমন কম খরচে আবাদ করে কৃষকরা হচ্ছেন লাভবান। অন্যদিকে ক্রেতারা পাচ্ছেন বিষমুক্ত সবজি।


সেক্স ফেরোমন ফাঁদ বসিয়ে বিষমুক্ত বেগুন চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। তাই কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এবং বেগুনের ন্যায্য মূল্য পেলে এ অঞ্চলে বিষমুক্ত বেগুন চাষ করতে কৃষকরা আরও এগিয়ে আসবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করছেন কৃষিবিদরা।


সুত্রঃ পরিবর্তন.কম



বিষমুক্ত চাষ - সেক্স ফেরোমন ফাঁদ

Jul 17, 2014

মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে যাচ্ছে

মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। রপ্তানিকারকরা এতে লাভবান হলেও উৎপাদনকারী মরিচচাষিরা লাভ গুনতে পারছেন না।

জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অফিস জানায়, জেলার শিবালয় ও হরিরামপুর ও ঘিওর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মরিচ চাষ হয়। উর্বর মাটির কারণে এ অঞ্চলে মরিচের আবাদ হয় বেশি, ফলনও ভাল। কৃষকরা প্রতিদিনই ক্ষেত থেকে মরিচ তুলে বাজারে বিক্রি করছে। মরিচ বিক্রির জন্য শিবালয় উপজেলায় বরংগাইল ও হরিরামপুর উপজেলায় ঝিটকা এবং ঘিওর উপজেলার বাঠুইমুড়ি হাট বিখ্যাত। প্রতিদিন ওই তিনটি হাটে শত শত মণ মরিচ বিক্রি করে কৃষকরা। বর্তমানে প্রতি কেজি মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। পাইকাররা এসব মরিচ অল্প দামে কিনে বাছাই করে ভালমানের মরিচ কাগজের বাক্সে প্যাকেটজাত করে। আর ওইসব প্যাকেটের শত শত মণ মরিচ ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে লন্ডন, দুবাই, মালয়েশিয়া, কুয়েত, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে চলে যায়। এছাড়া, মানিকগঞ্জ থেকে ব্যবসায়ীরা মরিচ ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে আরো চড়া দামে বিক্রি করছে। কৃষকরা জানান, বিদেশে এসব মরিচ চড়া দামে বিক্রি হলেও উৎপাদনকারী কৃষকরা এর ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। এক শ্রেণীর মুনাফা লোভী মধ্যস্বত্বভোগী কম দামে কৃষকদের কাছ থেকে মরিচ কিনে নেয়। আর বিদেশে রপ্তানির বিষয়ে কৃষি বিভাগ কিংবা সরকারের সঠিক কোন নিয়মনীতি নেই।

শিবালয় উপজেলার কৃষক জালাল মিয়া জানান, লাভের আশায় প্রতি বছরই মরিচের চাষাবাদ বেশি করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে ফলনও ভাল হচ্ছে। কিন্তু হাটে পাইকাররা সঠিক দাম দিয়ে মরিচ কিনছে না। এখান থেকে ৫০ টাকা কেজি কিনে তারা ঢাকায় বিক্রি করছে ১০০ টাকায়। তিনি আরো জানান, সরকারিভাবে মরিচের একটা দাম নির্ধারণ করা হলে কৃষকরা সঠিক দাম পেতো। ঘিওরের রাধাকান্তপুর গ্রামের মুন্নাফ মোল্লা এ বছর এক বিঘা জমিতে মরিচের চারা রোপণ করেছেন। সাত মণ মরিচ বিক্রি করেছেন আট হাজার ৫০০ টাকায়।

হরিরামপুর উপজেলার কালোই গ্রামের আজাদুর রহমান জানান, এ বছর দুই বিঘা জমির মরিচ বিক্রি করেছেন। ফলন বেশি হয়েছে। দামও ভালো পাওয়ায় তিনি বেশ খুশি।

বরঙ্গাইল মরিচের হাট থেকে প্রতিদিন সাত থেকে ৮ টন মরিচ বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানালেন হাটের আড়তদার মো. খোকন মিয়া। বললেন, এর একটা বড় অংশ বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনিও মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য তিন টন মরিচ কিনেছেন।

মো. ফরমান শেখ নামের আরেক আড়তদার জানান, তিনি ৬০ টাকা কেজি দরে এক টন মরিচ কিনেছেন। সেই মরিচ পাঠাবেন কুয়েতে। এতে তার যাতায়াত ভাড়াসহ প্রতি কেজি মরিচে এক থেকে দুই টাকা লাভ হবে বলে জানান।

ব্যবসায়ী জসিম মিয়া জানান, জেলার ঘিওর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলা মরিচ চাষের জন্য বিখ্যাত। এ অঞ্চলে উৎপাদিত বিন্দু জাতের মরিচের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ মরিচ বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরো বেশি পরিমাণ মরিচ বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।



মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে যাচ্ছে

মরিচ যাচ্ছে বিদেশে

মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচ দেশের গ-ি পেরিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। রপ্তানিকারকরা এতে লাভবান হলেও উৎপাদনকারী মরিচচাষিরা লাভ গুনতে পারছেন না।

জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অফিস জানায়, জেলার শিবালয় ও হরিরামপুর ও ঘিওর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মরিচ চাষ হয়। উর্বর মাটির কারণে এ অঞ্চলে মরিচের আবাদ হয় বেশি, ফলনও ভাল। কৃষকরা প্রতিদিনই ক্ষেত থেকে মরিচ তুলে বাজারে বিক্রি করছে। মরিচ বিক্রির জন্য শিবালয় উপজেলায় বরংগাইল ও হরিরামপুর উপজেলায় ঝিটকা এবং ঘিওর উপজেলার বাঠুইমুড়ি হাট বিখ্যাত। প্রতিদিন ওই তিনটি হাটে শত শত মণ মরিচ বিক্রি করে কৃষকরা। বর্তমানে প্রতি কেজি মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। পাইকাররা এসব মরিচ অল্প দামে কিনে বাছাই করে ভালমানের মরিচ কাগজের বাক্সে প্যাকেটজাত করে। আর ওইসব প্যাকেটের শত শত মণ মরিচ ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে লন্ডন, দুবাই, মালয়েশিয়া, কুয়েত, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে চলে যায়। এছাড়া, মানিকগঞ্জ থেকে ব্যবসায়ীরা মরিচ ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে আরো চড়া দামে বিক্রি করছে। কৃষকরা জানান, বিদেশে এসব মরিচ চড়া দামে বিক্রি হলেও উৎপাদনকারী কৃষকরা এর ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। এক শ্রেণীর মুনাফা লোভী মধ্যস্বত্বভোগী কম দামে কৃষকদের কাছ থেকে মরিচ কিনে নেয়। আর বিদেশে রপ্তানির বিষয়ে কৃষি বিভাগ কিংবা সরকারের সঠিক কোন নিয়মনীতি নেই।

শিবালয় উপজেলার কৃষক জালাল মিয়া জানান, লাভের আশায় প্রতি বছরই মরিচের চাষাবাদ বেশি করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে ফলনও ভাল হচ্ছে। কিন্তু হাটে পাইকাররা সঠিক দাম দিয়ে মরিচ কিনছে না। এখান থেকে ৫০ টাকা কেজি কিনে তারা ঢাকায় বিক্রি করছে ১০০ টাকায়। তিনি আরো জানান, সরকারিভাবে মরিচের একটা দাম নির্ধারণ করা হলে কৃষকরা সঠিক দাম পেতো। ঘিওরের রাধাকান্তপুর গ্রামের মুন্নাফ মোল্লা এ বছর এক বিঘা জমিতে মরিচের চারা রোপণ করেছেন। সাত মণ মরিচ বিক্রি করেছেন আট হাজার ৫০০ টাকায়।

হরিরামপুর উপজেলার কালোই গ্রামের আজাদুর রহমান জানান, এ বছর দুই বিঘা জমির মরিচ বিক্রি করেছেন। ফলন বেশি হয়েছে। দামও ভালো পাওয়ায় তিনি বেশ খুশি।

বরঙ্গাইল মরিচের হাট থেকে প্রতিদিন সাত থেকে ৮ টন মরিচ বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানালেন হাটের আড়তদার মো. খোকন মিয়া। বললেন, এর একটা বড় অংশ বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনিও মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য তিন টন মরিচ কিনেছেন।

মো. ফরমান শেখ নামের আরেক আড়তদার জানান, তিনি ৬০ টাকা কেজি দরে এক টন মরিচ কিনেছেন। সেই মরিচ পাঠাবেন কুয়েতে। এতে তার যাতায়াত ভাড়াসহ প্রতি কেজি মরিচে এক থেকে দুই টাকা লাভ হবে বলে জানান।

ব্যবসায়ী জসিম মিয়া জানান, জেলার ঘিওর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলা মরিচ চাষের জন্য বিখ্যাত। এ অঞ্চলে উৎপাদিত বিন্দু জাতের মরিচের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ মরিচ বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরো বেশি পরিমাণ মরিচ বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।



মরিচ যাচ্ছে বিদেশে

বিদেশেও নরসিংদীর কলম্বো জাতের সুগন্ধি লেবু

দেশের সীমানা ছাড়িয়ে এবার বিদেশেও নরসিংদীর ‘কলম্বো’ জাতের সুগন্ধি লেবু।

জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ৬০ হাজার ১৮০ কেজি লেবু রপ্তানি হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে এই পরিমাণ আরও বেশি। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পাঁচ হাজার ৩০ কেজি ও মে মাসে চার হাজার ২৯০ কেজি লেবু রপ্তানি হয়েছে।

বিদেশে এক কেজি লেবু গড়ে দুই পাউন্ড দামে রপ্তানি হয়। আর স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় প্রতি হালি ১৫০-২০০ টাকা দরে।

মুকসেদ আলী আরও জানান, ইতালি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, নরওয়ে, ফিনল্যান্ডসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশেই নরসিংদীর কলম্বো লেবু রপ্তানি হয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইইউর ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট ফুড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের একটি দল নরসিংদীর শিবপুরের দত্তেরগাঁও ভিটিপাড়া এলাকায় এসেছিলেন এই লেবুর বাগান দেখতে।

স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে শিবপুর, রায়পুরা, মনোহরদী ও বেলাবতে বাণিজ্যিকভাবে কলম্বো লেবুর চাষ হয়। এসব উপজেলার ১৪৪ হেক্টর জমিতে ছোট-বড় প্রায় এক হাজার লেবুর বাগান রয়েছে। আরও ৩৩০টি নতুন বাগান হচ্ছে। বর্তমানে ৯০০ চাষি পরিবারসহ ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারক মিলিয়ে হাজার দশেক লোক লেবু চাষ ও ব্যবসায়ে জড়িত।

চাষিদের কথা: শিবপুরের মাছিমপুর ইউনিয়নের দত্তেরগাঁও ভিটিপাড়া এলাকার লেবুচাষি খন্দকার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘২০০৩ সালে আমি যখন লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাচ্ছিলাম না, তখন এলাকার এক আত্মীয়ের পরামর্শে এক বিঘা জমিতে লেবুর বাগান করি। বর্তমানে আমার পাঁচ বিঘা জমিতে চারটি বাগান রয়েছে। এসব বাগানে প্রতিবছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ করে ছয়-সাত লাখ টাকা লাভ হচ্ছে।’

রায়পুরা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাবুল চৌধুরী বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর আগে স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তায় প্রথমে এক বিঘা জমিতে লেবুর বাগান করি। তুলনামূলক কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় পরবর্তী সময়ে লেবু বিক্রির টাকা দিয়ে পর্যায়ক্রমে ১৩ বিঘা জমি কিনে লেবু চাষ করছি। এতে খরচ পড়ে পাঁচ লাখ টাকার মতো, আর লাভ হয় ১৫ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ থেকে মোট সাতটি প্রতিষ্ঠান ইউরোপে এই লেবু রপ্তানি করে। এগুলো হলো: ফাহাদ ইন্টারন্যাশনাল, ফারদিন এন্টারপ্রাইজ, রহিম ট্রেড, আজিজ অ্যান্ড সন্স, ফিরোজ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, মরিসন এন্টারপ্রাইজ ও ইশতিয়ার ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল।

ফারদিন এন্টারপ্রাইজের পরিচালক মো. আরিফ উল্লাহ বলেন, ‘নরসিংদীর কলম্বো জাতের এই লেবু রপ্তানি করে ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারবো বলে আমার মনে হয়।’

রপ্তানি নিষিদ্ধ: রমজান উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিদেশে লেবু রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। এতে ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্ট এমপায়ার অ্যাসোসিয়েশনের মহাব্যবস্থাপক মাসুম মিয়া।

গুণাগুণ: নরসিংদী সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আবদুল কাফি জানান, লেবু সাধারণত কয়েক জাতের হয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছে: জারা লেবু, কারনা লেবু, বড় লেবু, এলাচি লেবু, আসাম লেবু, কলম্বো লেবু, কাটা লেবু ইত্যাদি। লেবুর রসে প্রচুর ভিটামিন সি এবং অল্প পরিমাণে কোলস্টেরল সোডিয়াম, পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেড, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম আছে। লেবু মানুষের শরীর বৃদ্ধিতে ও গঠনে বেশ কার্যকর।



বিদেশেও নরসিংদীর কলম্বো জাতের সুগন্ধি লেবু

হাঁস প্রতিপালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আনিছার রহমান

নওগাঁ প্রতিনিধি :নওগাঁর আত্রাইয়ে হাঁস প্রতিপালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন দরিদ্র এক পরিবার। বর্তমানে হাঁস থেকে আয় দিয়ে স্বচ্ছলভাবে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। জানা যায়, উপজেলার বাঁকা গ্রামের আনিছার রহমান (৫০) দীর্ঘদিন থেকে দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জড়িত হয়ে পড়েছিলেন। পরিবার পরিজন নিয়ে সংসারে প্রায় লেগেই থাকতো অভাবের অভিযোগ। শারীরিক সামর্থ না থাকায় শ্রম বিক্রিতেও তিনি ছিলেন অপারগ। তাই আজ থেকে বছর চারেক আগে তিনি শুরু করেন হাঁস প্রতিপালন ব্যবসা। প্রথমদিকে মাত্র কয়েকটি হাঁস প্রতিপালন করে তার ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা লালন করেন। এ থেকেই শুরু হয় তার আয়ের উৎস। প্রতিবছর হাঁসের বংশ বৃদ্ধি করে এখন তার খামারে রয়েছে প্রায় ৫শতাধিক হাঁস।আনিছার রহমান বলেন, এসব হাঁস প্রতিপালনে তার তেমন কোন ব্যয় হয় না। অথচ আয় হয় প্রচুর। প্রতিদিন সকালে এসব হাঁস রাস্তা সংলগ্ন জলাশয়ে নিয়ে গেলে নিজেদের আহার নিজেরাই খেয়ে থাকে। বাড়িতে খাবারের জন্য সামন্য কিছু ভূষি ও ব্যান্ডের জোগান দিলেই চলে। এ হাঁসগুলো ডিম দেয়া শুরু করলে লাগাতার ডিম দিতে থাকে। যে ডিম বিক্রি করেও তার প্রচুর আয় হয়। এ ছাড়াও হাঁস প্রতিপালন করে তিনি যথেষ্ট স্বাবলম্বী হয়েছেন।তিনি জানান, উন্নত জাতের হাঁস প্রতিপালন করতে পারলে তার ডিম বিক্রি করেও একটি পরিবার স্বচ্ছলভাবে চলতে পারবে। এ হাঁস প্রতিপালনে তিনি সরকারী কোন অনুদান পাননি। সরকারী পৃষ্টপোষকতা বা আর্থিক অনুদান পেলে তিনি আরও সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। তিনি মনে করেন বেকারত্বের অভিষাপ থেকে মুক্তি পেতে তার মত যদি আরও অনেকে এ হাঁস প্রতিপালন শুরু করেন। তাহলে একদিকে বিমোচন হবে দারিদ্রতা অপরদিকে তারা ফিরে পাবেন অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা। আর হাঁস প্রতিপালনে তেমন পুঁজিরও প্রয়োজন হয় না। অল্প টাকায় লাভজনক একটি পেশা হাঁস প্রতিপালনের পেশা।


সুত্র নিরাপদ নিউজ



হাঁস প্রতিপালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আনিছার রহমান

মরিচ যাচ্ছে বিদেশে

মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচ দেশের গ-ি পেরিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। রপ্তানিকারকরা এতে লাভবান হলেও উৎপাদনকারী মরিচচাষিরা লাভ গুনতে পারছেন না।

জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অফিস জানায়, জেলার শিবালয় ও হরিরামপুর ও ঘিওর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মরিচ চাষ হয়। উর্বর মাটির কারণে এ অঞ্চলে মরিচের আবাদ হয় বেশি, ফলনও ভাল। কৃষকরা প্রতিদিনই ক্ষেত থেকে মরিচ তুলে বাজারে বিক্রি করছে। মরিচ বিক্রির জন্য শিবালয় উপজেলায় বরংগাইল ও হরিরামপুর উপজেলায় ঝিটকা এবং ঘিওর উপজেলার বাঠুইমুড়ি হাট বিখ্যাত। প্রতিদিন ওই তিনটি হাটে শত শত মণ মরিচ বিক্রি করে কৃষকরা। বর্তমানে প্রতি কেজি মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। পাইকাররা এসব মরিচ অল্প দামে কিনে বাছাই করে ভালমানের মরিচ কাগজের বাক্সে প্যাকেটজাত করে। আর ওইসব প্যাকেটের শত শত মণ মরিচ ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে লন্ডন, দুবাই, মালয়েশিয়া, কুয়েত, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে চলে যায়। এছাড়া, মানিকগঞ্জ থেকে ব্যবসায়ীরা মরিচ ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে আরো চড়া দামে বিক্রি করছে। কৃষকরা জানান, বিদেশে এসব মরিচ চড়া দামে বিক্রি হলেও উৎপাদনকারী কৃষকরা এর ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। এক শ্রেণীর মুনাফা লোভী মধ্যস্বত্বভোগী কম দামে কৃষকদের কাছ থেকে মরিচ কিনে নেয়। আর বিদেশে রপ্তানির বিষয়ে কৃষি বিভাগ কিংবা সরকারের সঠিক কোন নিয়মনীতি নেই।

শিবালয় উপজেলার কৃষক জালাল মিয়া জানান, লাভের আশায় প্রতি বছরই মরিচের চাষাবাদ বেশি করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে ফলনও ভাল হচ্ছে। কিন্তু হাটে পাইকাররা সঠিক দাম দিয়ে মরিচ কিনছে না। এখান থেকে ৫০ টাকা কেজি কিনে তারা ঢাকায় বিক্রি করছে ১০০ টাকায়। তিনি আরো জানান, সরকারিভাবে মরিচের একটা দাম নির্ধারণ করা হলে কৃষকরা সঠিক দাম পেতো। ঘিওরের রাধাকান্তপুর গ্রামের মুন্নাফ মোল্লা এ বছর এক বিঘা জমিতে মরিচের চারা রোপণ করেছেন। সাত মণ মরিচ বিক্রি করেছেন আট হাজার ৫০০ টাকায়।

হরিরামপুর উপজেলার কালোই গ্রামের আজাদুর রহমান জানান, এ বছর দুই বিঘা জমির মরিচ বিক্রি করেছেন। ফলন বেশি হয়েছে। দামও ভালো পাওয়ায় তিনি বেশ খুশি।

বরঙ্গাইল মরিচের হাট থেকে প্রতিদিন সাত থেকে ৮ টন মরিচ বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানালেন হাটের আড়তদার মো. খোকন মিয়া। বললেন, এর একটা বড় অংশ বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনিও মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য তিন টন মরিচ কিনেছেন।

মো. ফরমান শেখ নামের আরেক আড়তদার জানান, তিনি ৬০ টাকা কেজি দরে এক টন মরিচ কিনেছেন। সেই মরিচ পাঠাবেন কুয়েতে। এতে তার যাতায়াত ভাড়াসহ প্রতি কেজি মরিচে এক থেকে দুই টাকা লাভ হবে বলে জানান।

ব্যবসায়ী জসিম মিয়া জানান, জেলার ঘিওর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলা মরিচ চাষের জন্য বিখ্যাত। এ অঞ্চলে উৎপাদিত বিন্দু জাতের মরিচের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ মরিচ বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরো বেশি পরিমাণ মরিচ বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।



মরিচ যাচ্ছে বিদেশে