গলা ফোলা – Hemorrhagic Septicemia
গলা ফোলা রোগের কারনঃ ব্যাক্টেরিয়া জনীত জটিল রোগ।
প্রচলিত নামঃ গলা ফোলা বা Hemorrhagic Septicemia আমদের দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন; ধড়কা, বিশাল বাও, বিশেষ সিকা, বাতাস লাগা।
গলা ফোলা বা Hemorrhagic Septicemia রোগের লক্ষনঃ
- পশুর তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায় ১০৩o F ১০৭o F(৫৫৪ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৫৭৬ডিগ্রি)
- পশুর ঘাড় ও মাথা ফুলে যায়।
- পশু মাথা নিচু করে রাখে ও ঘাড় নাড়াচাড়া করে না।
- পশু খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়।
- পশু চরম আকারে আক্রান্ত হলে ৪৮-২৪ ঘন্টায় পশু মারা যাবে।
- সাধারনত বর্ষার পুর্বে অধিক পরিশ্রম করালে, খাবার দাবার অপর্যাপ্ত হলে বিশ্রাম কম হলে এ রোগ দেখা দেয়।
গলা ফোলা রোগের চকিৎসাঃ
১) ইঞ্জেকশান প্রোনাধেন ৪০ লাখ মাংশে প্রতি ৭৫-১০০ কেজি দৈহিক ওজন এর জন্য প্রথম ১২ ঘন্টা পর পর ১০ মিলিঃ করে ২বার। পরবর্তিতে ২৪ ঘন্টা পর পর প্রতিদিন একই মাত্রা ৩-৫ দিন
২) OR কম্প্রিভেট ৪০ লাখ একই মাত্রা
৩) OR রেনামাইসিন এল.এ. একই মাত্রা।
পাশপাশি
১) ইঞ্জেকশান হিস্টাভেট / ফ্লুগান / ডিলারজেন – ৭৫-১০০ কেজি bwt এর জন্য ৫ মিলি. করে মাংশে ৩-৫ দিন।
তড়কা রোগের প্রতিরোধঃ
- ভ্যাকসিন – পশুকে ৬ মাস পর পর টিকা দিয়ে রাখতে হবে।
গলা ফোলা - Hemorrhagic Septicemia
No comments:
Post a Comment