s স্বাবলম্বী বাংলাদেশ - তবে একলা চলরে: 2015

Sep 6, 2015

খামারিদের ঋণ প্রাদানে উৎসুক ব্যাংক

খামারিদের ঋণ প্রাদানে উৎসুক ব্যাংক

খামারিদের ঋণ প্রাদানে উৎসুক ব্যাংক।


দুধের চাহিদা পূরণে খামারিদের ঋণ মাত্র ৫ শতাংশ সুদে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য ২০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় ১২টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ঋণ বিতরণের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন। ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চুক্তি করে।


চুক্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক এবং সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, আনসার ভিডিপি ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডর প্রধান নির্বাহীরা সই করেন। অনুষ্ঠানে গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, দেশে দুধের মোট চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ উৎপাদন হয়। বাকি ৮০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আমদানিনির্ভরতা কমাতে সরকার ক্ষুদ্র প্রান্তিক খামারিদের ঋণ তহবিল ২০০ কোটি টাকার মাধ্যমে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, সৃজনশীল এ প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন হলে দেশ দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে এবং মানুষের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে। এ ঋণ বিতরণ করতে প্রকৃত ও নারী খামারিদের অগ্রাধিকার দেয়ার নির্দেশ দেন গভর্নর। তিনি বলেন, এতে নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান বাড়বে। আতিউর রহমান বলেন, সম্ভাবনাময় এ প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে পরে বাজেট আরও বাড়ানো হবে। টেকসই অর্থায়নের অংশ হিসেবে উৎপাদনশীল খাতে টাকা দিচ্ছে সরকার। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য উন্নয়নমুখী কর্মতৎপরতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। সভাপতির বক্তব্যে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর ৪০০ কোটি টাকার দুধ আমদানি করতে হয়। প্রকৃত খামারিদের ঋণ দেয়া হলে দুধের সংকট ক্রমেই কমে আসবে। আমদানিনির্ভরতাও কমবে। এজন্য কৃত্রিম প্রজনন ও গাভী পালনকারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ ঋণ দিতে হবে। প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সোনালী, জনতা, রূপালী, আনসার ভিডিপি, আইএফআইসি ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।


গাভী পালন, গাভী ক্রয় ও কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে শংকর জাতের গাভী পালনের জন্য বিদ্যমান ঋণ সুবিধার পাশাপাশি এ খাতে অধিকতর ঋণপ্রবাহ নিশ্চিত করতে ৫ বছর মেয়াদি (নবায়ন-আবর্তন যোগ্য) ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকগুলো। একজন গ্রাহক ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। চলতি মাস থেকেই এ ঋণ বিতরণ শুরু হবে।


সুত্রঃ mzamin.com/details.php?mzamin=OTExMzQ=&s=Nw==



খামারিদের ঋণ প্রাদানে উৎসুক ব্যাংক

Sep 1, 2015

গলা ফোলা - Hemorrhagic Septicemia

গলা ফোলা - Hemorrhagic Septicemia

গলা ফোলা – Hemorrhagic Septicemia


গলা ফোলা রোগের কারনঃ ব্যাক্টেরিয়া জনীত জটিল রোগ।


প্রচলিত নামঃ গলা ফোলা বা Hemorrhagic Septicemia আমদের দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন; ধড়কা, বিশাল বাও, বিশেষ সিকা, বাতাস লাগা।


গলা ফোলা বা Hemorrhagic Septicemia রোগের লক্ষনঃ


  1. পশুর তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায় ১০৩o F ১০৭o F(৫৫৪ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৫৭৬ডিগ্রি)

  2. পশুর ঘাড় ও মাথা ফুলে যায়।

  3. পশু মাথা নিচু করে রাখে ও ঘাড় নাড়াচাড়া করে না।

  4. পশু খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়।

  5. পশু চরম আকারে আক্রান্ত হলে ৪৮-২৪ ঘন্টায় পশু মারা যাবে।

  6. সাধারনত বর্ষার পুর্বে অধিক পরিশ্রম করালে, খাবার দাবার অপর্যাপ্ত হলে বিশ্রাম কম হলে এ রোগ দেখা দেয়।

গলা ফোলা রোগের চকিৎসাঃ


১) ইঞ্জেকশান প্রোনাধেন ৪০ লাখ মাংশে প্রতি ৭৫-১০০ কেজি দৈহিক ওজন এর জন্য প্রথম ১২ ঘন্টা পর পর ১০ মিলিঃ করে ২বার। পরবর্তিতে ২৪ ঘন্টা পর পর প্রতিদিন একই মাত্রা ৩-৫ দিন


২) OR কম্প্রিভেট ৪০ লাখ একই মাত্রা


৩) OR রেনামাইসিন এল.এ. একই মাত্রা।


পাশপাশি


১) ইঞ্জেকশান হিস্টাভেট / ফ্লুগান / ডিলারজেন – ৭৫-১০০ কেজি bwt এর জন্য ৫ মিলি. করে মাংশে ৩-৫ দিন।


তড়কা রোগের প্রতিরোধঃ


  • ভ্যাকসিন – পশুকে ৬ মাস পর পর টিকা দিয়ে রাখতে হবে।


গলা ফোলা - Hemorrhagic Septicemia

Aug 26, 2015

মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি

মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি

বানিজ্যিক ভাবে মাছ চাষের জন্য পুকুর কে প্রস্তুত করে নেওয়াই ভাল। কারন একটি পুকুর মাছ চাষের উপযুক্ত না হলে এবং পুকুর প্রস্তুত না করে চাষ শুরু করে দিলে বিনিয়োগ ব্যাপক ঝুঁকির মধ্য পড়বে। ঝুঁকি এড়াতে এবং লভ্যাংশ নিশ্চিত করতেই আমাদের চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুত করে নিতে হবে।



মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি


  1. পুকুরের পাড় ও তলা মেরামত করা।

  2. পাড়ের ঝোপ জংগল পরিষ্কার করা।

  3. জলজ আগাছা পরিষ্কার করা।

  4. রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছ দূর করা
    1. পুকুর শুকানো

    2. বার বার জাল টানা।

    3. ঔষধ প্রয়োগ
      1. রোটেনন। পরিমানঃ ২৫ – ৩০ গ্রাম/শতাংশ/ফুট। এর বিষক্রিয়ার মেদ ৭-১০দিন। প্রয়োগের সময় রোদ্রজ্জল দিনে।

      2. ফসটক্সিন / কুইফস / সেলফস ৩গ্রাম/শতাংশ/ফুট। মেয়াদ এবং সময় পুর্বের ন্যায়।



  5. চুনপ্রয়োগ ঃ- কারন / কাজ / উপকারিতা – সাধারনত ১কেজি চুন /শতাংশ প্রয়োগ করতে যদি PH এর মান ৭ এর আশেপাশে থাকে। বছরে সাধারনত ২বার চুন প্রয়োগ করতে হয়। একবার পুকুর প্রস্তুতির সময়, ২য় বার শিতের শুরুতে কার্তিক – অগ্রায়হন মাসে।
    1. চুন প্রয়োগের উপকারিতা
      1. পানি পরিষ্কার করা / ঘোলাটে ভাব দূর করা।

      2. PH নিয়ন্ত্রন করে।

      3. রোগ জিবানু ধংশ করে।

      4. মাছের রোগ প্রতিরধ ক্ষমতা বাড়ায়।

      5. বিষাক্ত গ্যাস দূর করে।

      6. শ্যাওলা নিয়ন্ত্রন করে।


    2. চুন প্রয়োগের সাবধানতা
      1. চুন কখনো প্লাস্টিকের কিছুতে গোলানো যাবে না।

      2. পুকুরে মাছ থাকা অবস্থায় চুন গোলানর ২ দিন পর পুকুরে দিতে হয়।

      3. গোলানর সময় এবং দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে হবে যেন নাকে মুখে ঢুকে না যায়।

      4. পানি নাড়া চাড়া করে দিতে হবে।



  6. সার প্রয়োগ ঃ-          সার প্রয়োগ: প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক।
    1. জৈব সার/প্রাকৃতিক – যা কিনা প্রাণী কণা তৈরি করে। যেমন; গোবর, হাস মুরগীর বিষ্ঠা, কম্পোস্ট।

    2. অজৈব বা রাসায়নিক বা কৃত্রিম সার – যা উদ্ভিদ কণা তৈরি করে। যেমন, ইউরিয়া, টি.এস.পি.

     



মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি – নতুন পুকুরে সার প্রয়োগ মাত্রা ঃ


নিচের যেকোন একটিঃ


  1. গোবর——————– ৫-৭ কেজি / শতাংশ অথবা

  2. হাস মুরগীর বিষ্ঠা ——— ৫-৬ কেজি / শতাংশ অথবা

  3. কম্পোস্ট—————– ১০-১২ কেজি / শতাংশ

এবং


  1. ইউরিয়া——————- ১০০-১৫০ গ্রাম / শতাংশ

  2. টি.এস.পি.—————- ৫০-৭৫ গ্রাম / শতাংশ


মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি এর আনুমানিক মোট সময় ঃ



  • পাড় ও তলা + ঝোপ জঙ্গল পরিষ্কার = ২ দিন

  • রাক্ষুসে মাছ পরিষ্কার = ৩ (৭-১০ দিন পর্যন্ত বিষ ক্রিয়া থাকে)

  • চুন প্রয়োগ = ৩-৫ দিন।

  • সার প্রয়োগ = ৭ দিন



এরপর পোনা ছাড়া হবে। গড়ে মোট ১৭ দিন (২+৩+৫+৭)।



পুকুরে চাষযোগ্য মাছের বৈশিষ্ট্য ঃ



  • দ্রুত বর্ধনশীল

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।

  • বাজার চাহিদা বেশি।



বানিজ্যিক ভাবে চাষযোগ্য মাছ ঃ



  • দেশী কার্পঃ রুই, কাতলা, মৃগেল, কালি বাউশ।

  • বিদেশী কার্পঃ গ্রাস কার্প, সিল্ভার কার্প, কার্পিও, মিরর কার্প, বিগ হেড।

  • কার্প ছাড়াওঃ পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, সরপুটি/রাজপুটি, কৈ, চিংড়ি ইত্যাদি।



বিভিন্ন স্তরের মাছ একসাথে চাষের আনুপাতিক হার ঃ

















উপরের স্তর৪০%
মধ্য স্তর২৫%
নিম্ন স্তর২৫%
সর্ব স্তর১০%
১০০%

সাধারনত শতাংশ প্রতি ১৫০ টি পোনা ছাড়া যায়। এ হিসাবে ৩০ শতাংশের একটি পুকুরে মোট ৪৫০০টি পোনা ছাড়া যাবে। এবং উপরের স্তরের মাছ থাকবে (৪০X৪৫০০)/১০০=১৮০০ টি পোনা



মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি

Aug 24, 2015

গড়ে তুলুন ডেইরি ফার্ম

গড়ে তুলুন ডেইরি ফার্ম

পড়াশোনা শেষ করে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরা গতানুগতিক চাকরি বা ব্যবসার আশায় বসে থাকে. এ সকল চাকরি বা ব্যবসার আশায় না থেকে আমরা যদি নিজেরাই আত্মকর্মসংস্থানের জন্য কিছু গঠনমূলক কাজ করি তাহলে আমাদের ভাগ্যের সঙ্গে সঙ্গে সমাজকেও আমরা কিছু উপহার দিতে পারব. এজন্য দরকার আত্মবিশ্বাস এবং কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠা. সমাজে এমন অনেক ব্যতিক্রমী পেশা রয়েছে যেখানে একটু পরিশ্রম ও চিন্তাভাবনা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করলে সফলতা দরজায় এসে কড়া নাড়বে.


আজকে এরকম একটি প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করা হলো. এটি হলো ডেইরি ফার্ম. বাংলাদেশে এখন সফল ডেইরি ফার্মের সংখ্যা অনেক. দিন দিন এর চাহিদা ও বাজার বাড়ছে. একদিকে যেমন এ থেকে আদর্শ খাবার হিসেবে দুধ، আমিষের চাহিদা মেটাতে মাংস এবং জ্বালানি হিসেবে গোবর ও জৈব সার পাওয়া যাবে، তেমনি অন্যদিকে এ খাত থেকে বেশ ভালো আয় করাও সম্ভব. তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অল্পবিস্তর জ্ঞান থাকতে হবে. সবচেয়ে ভালো হয় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ নিলে.


প্রাথমিক প্রয়োজন:  যেকোনো কিছু গড়তে সবার আগে প্রয়োজন প্রাথমিক প্রস্তুতি. এ প্রস্তুতির উপর নির্ভর করে যে কোনো কাজের সফলতার ও ব্যর্থতা. ডেইরি ফার্ম গড়ে তুলতে প্রয়োজন আর্থিক সঙ্গতি، অভিজ্ঞতা ও গরুর নিরাপদ আশ্রয়. প্রথমেই বিশাল ফার্ম তৈরিতে হাত না দিয়ে ছোট পরিসরে কাজে হাত দেওয়া ভালো. ৫ থেকে ৬ টি গরু নিয়ে যাত্রা করে আস্তে আস্তে ফার্মকে সম্প্রসারণ করাই উত্তম. ২টি গরুর জন্য একজন দক্ষ লোক নিয়োগ করা গেলে ভালো. তবে খেয়াল রাখতে হবে লোকটির গরুর যত্ন নেয়ার পূর্বঅভিজ্ঞতা আছে কিনা.


বাছাই প্রক্রিয়া:  নিজ এলাকায় বিশেষ করে মফস্বলে গরুর ফার্ম গড়ে তোলাই শ্রেয়. এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন গরুর উন্নত জাত বাছাই. উন্নত জাতের গরু বাছাই না করলে সারা বছর ফার্মে রোগবালাই লেগে থাকবে. ভালো জাতের গরুর পাশাপাশি ফার্মে পর্যাপ্ত ঘাস، খৈল বিচালির ব্যবস্থা রাখতে হবে. ফার্ম গড়ে তোলার পরপরই দুধ বিক্রির জন্য প্রচারণা চালাতে হবে.


স্থান নির্বাচন:  যেখানে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো এবং দুধ বিক্রির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে এসব এলাকার আশপাশেই ডেইরি ফার্ম গড়ে তোলা প্রয়োজন. চারপাশে উঁচু দেওয়াল، পরিবেশসম্মত আবাসন، পর্যাপ্ত আলো – বাতাস এবং গরুর বিশ্রাম ও হাঁটাচলার জন্য জায়গা থাকতে হবে. গরুর ওষুধের দোকান، কাঁচা ঘাসের খামার আশপাশে থাকলে ভালো.


খাবার সরবরাহ:  ডেইরি ফার্মের জন্য সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিতে হবে গরুর খাবারের প্রতি. পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন খাবার না পেলে সঠিক পরিমাণ দুধ পাওয়া যায় না. ধানের কুঁড়া، গমের ভুসি، ছোলা، খেসারির খোসা، লবণ، খৈল، নারিকেলের ছোবড়া، ঘাস – বিচালির পর্যাপ্ত সংগ্রহ রাখতে হবে. অনেক সময় বাসি ও পচা খাবার গরুকে সরবরাহ করা হয়. যা কখনোই ঠিক নয়. এতে করে গরুর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে. সবসময়ই খেয়াল রাখতে হবে গরুর খাদ্য যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পুষ্টিমান সম্পন্ন হয়. এ জন্য পচা বা দীর্ঘদিন রাখা এসব পণ্য গরুকে খাওয়ানো উচিত নয়. গাভীর গর্ভধারণ ও গর্ভকালীন আলাদাভাবে পরিচর্যা করতে হবে. . এ সময় স্থানীয় পশু চিকিৎসকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।


আয় – ব্যয়:  ডেইরি ফার্ম একটি দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম. সঙ্গে সঙ্গেই লাভের আশা করা ভুল. বরং ধীরে সুস্থে এগুলেই ভালো ফল পাওয়া যাবে. গড়ে এক একটি গরু কিনতে ৬০-৯০ হাজার টাকা খরচ হবে. এছাড়া যত বেশি গরুর সংখ্যা বাড়বে উৎপাদন খরচও তত কমবে. বর্তমানে শহরের বিভিন্ন মিষ্টির দোকান ও কনফেকশনারীর লোকজন সরাসরি ফার্মে এসে দুধ সংগ্রহ করে নিয়ে যায়. গড়ে এক একটি গরু থেকে মাসে ১০-১২ হাজার টাকার দুধ বিক্রি করা সম্ভব. খরচ বাদে এই লাভ একটি পরিবারের জন্য কম নয়. পরিচর্যা:  উন্নত জাতের গাভী ডেইরি ফার্মের জন্য সহায়ক. এ ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ান গাভীর জাত বেছে নেওয়া যেতে পারে. এজন্য পশু খামারি এবং পশু কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে নিলে ভালো হয়. প্রতিটি গরুর জন্য আলাদা মশারি، ফ্যান، ময়লা পরিষ্কারের ব্যবস্থা রাখতে হবে. . আলোর জন্য লাইটিং এবং পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেও নজর দেওয়া জরুরি পশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যা:  দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় পশু চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে. এছাড়া সরকারিভাবেও খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়. সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য ছাড়াও ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে. যুব উন্নয়ন، কৃষিব্যাংক، গ্রামীণ ব্যাংক، কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকেও প্রশিক্ষিত তরুণরা বিনা জামানতে বেশ মোটা অংকের ঋণ সহায়তা পেতে পারেন. বেকার শিক্ষিত তরুণদের জন্য এটি হতে পারে একটি চমৎকার পেশা. তাই নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে সচেষ্ট হই এবং এরকম ডেইরি ফার্ম করে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হই.  (সুত্রঃ এগ্রোবাংলা ডটকম)


 



গড়ে তুলুন ডেইরি ফার্ম

Aug 16, 2015

কবুতরের রোগ বালাই

কবুতরের রোগ বালাই

কবুতরের রোগ বালাইঃ


কবুতরের বসন্ত – Pigeon Pox


কারনঃ ভাইরাস জনীত রোগ

লক্ষনঃ  শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ঝিমায় খাওয়া দাওয়া বন্ধ, ঝুটিতে বুটি বুটি উঠে।

চিকিৎসাঃ পটাশ দিয়ে ভালভাবে মাথা পালকের নিচ মুছে দিতে হবে। তারপর নেবনল অয়েনমেন্ট দিতে হবে।

কসুমিক্স প্লাস / সলোটিন ১লিঃ ২ গ্রাম করে ৫দিন।

প্রতিরোধ ঃ কবুতরের বাসা ভালকরে পরিষ্কার করে দিতে হবে।

খেয়াল রাখতে হবেঃ বাচ্চা ফুটার পরপরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা।


কবুতরের পাতলা পায়খানা


কারনঃ ভাইরাস জনীত।

লক্ষনঃ ঝিমায় এবং পাতলা পায়খানা হবে।

চিকিৎসাঃ এস.কে. পাউডার খাবারের সাথে দিনে ৩-৪ বার। পানির সাথে কসুমিক্স প্লাস।


কবুতরের কৃমি


লক্ষনঃ খাওয়াদাওয়া কম খাবে, শুকিয়ে যাবে, মাঝে মাঝে পাতলা পায়খানা, ঝিমাবে

চিকিৎসাঃ তিন মাস পরে পরে এভিপার / ডিভিপার কৃমিনাশক ১কেজি খাবারে ১চা চামচ পরিমান সাথে খাওয়াতে হবে।



কবুতরের রোগ বালাই

হাঁস মুরগীর রোগ বালাই

হাঁস মুরগীর রোগ বালাই

যাদের ইতোমধ্যে হাঁস মুরগীর খামার আছে এবং যারা নতুন করে খামার করতে চাচ্ছি, একটা ব্যাপার সবার কাছে খুব সাধারন উদ্বেগের বিষয় যে হাঁস মুরগীর রোগ বালাই হলে কি করব? কখনো কখনো মড়ক লেগ হঠাৎ একসাথে হাজার হাজার হাঁস মুরগী মারা যায়। এর মাঝে বেশ কিছু প্লেগ বা মড়ক জাতীয় রোগ আছে যার এখন তেমন কোন চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি; বার্ড ফ্লু তন্মধ্যে অন্যতম। নিচে আমরা হাঁস মুরগীর কয়েকটি সাধারন রোগ বালাই তার লক্ষন ও কারন, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা করব।


Duck Plague – ডাক প্লেগ


Duck Plague বা হাঁসের প্লেগ রোগ হলে পা অবশ হয়ে যায়।

Duck Plague বা হাঁসের প্লেগ রোগ হলে পা অবশ হয়ে যায়।



লক্ষন ঃ-


  1. হাঁসের চোখ দিয়ে পানি ঝরে।

  2. চাল ধোয়া পানির মত ঘোলা পায়খানা করে।

  3. মাঝে মাঝে নিলাভ, মাঝে মাঝে সবুজ পায়খানা করে।

  4. পা অবশ হয়ে যায় এবং এক জায়গায় চুপচাপ বসে থাকবে, ঝিমাবে।

  5. পুরুষ হাঁসের ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গ বের হয়ে যায়।

  6. প্রতিদিন ২/৪টা মারা যাবে।

  7. মৃত্যু হার ৮০-৯০ ভাগ।

চিকিৎসা ঃ-


  1. কসুমিক্স প্লাস – ১লিঃ পানিতে ২গ্রাম মিশিয়ে বার বার খাওয়াতে হবে ৫দিন।

  2. সাথে স্যালাইন – ইলেক্ট্রোলাইট / ডেক্সট্রোলাইট

  3. একই সাথে ৫-১০গ্রাম মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।

  4. পটাশ দিয়ে বার বার হাঁসের ঘর ধুয়ে দিতে হবে।

প্রতিরোধ ঃ- ডাক প্লেগের ভ্যাকসিন দিতে হবে।


ডাক কলেরা


 


কারন ঃ- ব্যক্টেরিয়া জনিত


লক্ষনঃ-


  1. তরল পায়খানা হবে।

  2. ঘনঘন পায়খানা হবে।

  3. মৃত্যু হার ৮০-৯০ ভাগ।

প্রতিরোধ ঃ- ডাক কলেরার ভ্যাকসিন দিতে হবে।


মুরগীর রানীক্ষেত


মুরগীর রানীক্ষেত রোগ এ মুরগী মাথা নিচের দিকে দিয়ে ঝিমাবে।

মুরগীর রানীক্ষেত রোগ এ মুরগী মাথা নিচের দিকে দিয়ে ঝিমাবে।



কারন ঃ- ভাইরাস জনিত রোগ।


লক্ষন ঃ-


  1. সবুজ পায়খানা করে।

  2. তাপমাত্রা বেড়ে যাবে।

  3. চুনা পায়খানা করে।

  4. মাঝে মাঝে নিল পায়খানা করে।

  5. মাথার ঝুটি ফ্যাকাসে হয়।

  6. পাখনা ঝুলে যায়।

  7. পালক উস্কো খুস্কো হয়ে যায়।

  8. তিব্র আকারে আক্রান্ত হলে লাফ দিয়ে পড়ে মারা যায়।

  9. আক্রান্ত মুরগির লিভারে সাদা সাদা দাগ পড়বে।

  10. মুরগির স্প্লিন এর উপর সাদা রিঙের মত দাগ পড়বে।

চিকিৎসা ঃ-


  1. রানিখেত বা ভাইরাস জনিত রোগের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নাই।

  2. পরবর্তিতে যেন নতুন ভাবে অন্য কোন ব্যক্টেরিয়ায় আক্রান্ত না হয় তার জন্য এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে। যেমন; রেনামাইসিন, টেরামাইসিন ইত্যাদি।

প্রতিরোধ ঃ- BCRDV and RDV vaccine দিতে হবে।


গাম্বুরু – Bursal Disease


গাম্বুরু বা Bursal Disease হলে মুরগীর বার্সা পানি জমে ফুলে যাবে।

গাম্বুরু বা Bursal Disease হলে মুরগীর বার্সা পানি জমে ফুলে যাবে।



কারন ঃ- ভাইরাস জনিত রোগ।


লক্ষন ঃ-


  1. চুপচাপ বসে ঝিমায়, সব একসাথে বসে থাকবে।

  2. পিছনের অংশে বার্সার চারপাশে পানি জমে ফোলা ফোলা থাকবে।

  3. বার্সা পচে যায়।

  4. মরার পর কাটলে পিছনের অংশ দিয়ে পানি বের হবে।

চিকিৎসা ঃ-


  1. সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নাই।

  2. তবে আখের গুড়ের শরবত খুবই কার্যকরি। ১লিঃ পানে ২৫০গ্রাম আখের গুড়, ২টি রেনামাইসিন ট্যবলেট, ১টি লেবু মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।

  3. মুরগিকে অনবরত দৌড়াতে হবে।

  4. সম্পুর্ন লিটার পালটে দিতে হবে।

প্রতিরোধ ঃ- গাম্বুরু ভ্যাকসিন দিতে হবে।


ফাউল পক্স – Fowl Pox


মুরগীর ফাউল পক্স এ মুরগীর চোঁটে, নাকে গুটি বের হয়।

মুরগীর ফাউল পক্স এ মুরগীর চোঁটে, নাকে গুটি বের হয়।



কারন ঃ- ভাইরাস জনিত


লক্ষন ঃ- পালকের নিচে, নাকে, ঝুটিতে গুটি গুটি উঠে।


চিকিৎসা ঃ-


  1. পটাশ মিশ্রিত পানিতে দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে।

  2. এনড্রোসিন, / রেনামাইসিন / টেরামাইসিন ১লিঃ পানিতে ৫মিলি ৫-৭ দিন

  3. অথবা কুসুমিক্স প্লাস ৫গ্রাম ১লিঃ পানিতে।

প্রতিরোধ ঃ- ওয়েব উইং পদ্ধতিতে ফাউল পক্স টিকা দিতে হবে।


রক্ত আমাশয়


মুরগীর রক্ত আমাশয় হলে মুরগীর পাখনা ঝুলে যাবে।

মুরগীর রক্ত আমাশয় হলে মুরগীর পাখনা ঝুলে যাবে।



কারন ঃ- Plasmodium এর কারনে।


লক্ষন ঃ-


  1. রক্ত মিশ্রিত পায়খানা করবে।

  2. খাওয়া বন্ধ করে দিবে।

  3. মলদার ভিজা থাকবে।

  4. মুরগি শুকিয়ে যাবে।

  5. পাখনা ঝুলে যাবে।

চিকিৎসা ঃ- ESB3 / Embazin / Coccidure / Coccicure


প্রতিরোধ ঃ- Coccdustade / Coccicubuinder খাবারের সাথে দিতে হবে।



হাঁস মুরগীর রোগ বালাই

গাভী গরম না হওয়া – Anestrum

গাভী গরম না হওয়া – Anestrum

গাভী গরম না হওয়া – Anestrum:

গাভী যেমন অনেক সময় পাল ধরে রাখে না বা বারে বারে গরম হয়, তেমনি গাভী আবার একেবারেই গরম নাও হতে পারে।
সাধারনতঃ


  1. বিভিন্ন ধরনের জীবানু দারা জরায়ুতে প্রদাহ হলে।

  2. বিপাকিয় রোগ জরায়ুর বিভিন্ন রোগ হলে।

  3. পুষ্টির অভাব ও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।

চিকিৎসাঃ


  1. প্রথম পদ্ধতিঃ- গাভিকে প্রথমে কৃমির ঔষধ খাইয়ে নিম্নের যেকোন একটি ঔষধ খাওয়াতে হবে।
    1. ভিটামিক্স / মেগাভিট ডিভি / ভিটা এ.ডি.ই / ই.এস.-এ.ডি-৩.ই / বায়োমিক্স – বকনাকে প্রতিদিন ৫মিলি/গ্রাম এবং প্রাপ্ত বয়স্ক গাভিকে ১০মিলি/গ্রাম পানি / দানাদার খাবারের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ১ বার করে ৩০ দিন খাওয়াতে হবে। এতে করে গাভি ৩০-৪৫ দিনের মধ্যেই হিটে আসবে।


  2. ২য় পদ্ধতিঃ- যদি এরপরও হিটে না আসে তবে নিম্নের যেকোন একটি ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।
    1. Injection Vita-ADE / AD3E / Forte / Renasole AD3E / Vitamin AD3E – বকনাকে ১০-১৫মিলি এবং গাভিকে ১৫-২০মিলি মাংশে। ৭দিন পর পর ২-৩ টি ইঞ্জেকশান। ৩য় ডোজ এর পর ৪৫ দিনে অপেক্ষা করতে হবে যদি হিটে নাও আসে। এর মধ্যেও হিটে না আসলে ৩য় পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।


  3. ৩য় পদ্ধতিঃ- Fertajel injection / Fertilon / Folligone – এর যেকোন একটি ঔষধ আড়াই থেকে ৫মিলি মাংশে প্রয়োগ করতে হবে। ১টি ইঞ্জেকশান দেয়ার ১ – ৩০ দিনের মধ্য হিটে আসবে।

  4. অথবা Mixogen এর ডাবল ডোজ প্রয়োগ করতে হবে।

  5. সনাতনি পদ্ধতিঃ- গরুকে প্রতিদিন ৫০-১০০ গ্রাম ছোলা ভিজিয়ে রেখে অঙ্কুরিত হলে খাওয়াতে হবে। এভাবে ৭-১০দিন। অথবা মুরগির কাঁচা ডিম প্রতিদিন সকালে ১টি করে ১০ দিন খাওয়ালে ১০-৪৫ দিনের মধ্যেই গাভি গরম হবে।


গাভী গরম না হওয়া – Anestrum