s স্বাবলম্বী বাংলাদেশ - তবে একলা চলরে: March 2013

Mar 19, 2013

Central Duck Hatchery - কেন্দ্রীয় হাঁস প্রজনন খামার


কেন্দ্রীয় হাঁস প্রজনন খামার, হাজীগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ

 

১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত সুনামের সহিত দেশে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁসের বাচ্চা সরবারহ করে আসছে। যা হাওর বাওর বা বিল অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকায় অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন। এখান থেকে যে কেউ যেকোন সময় বাচ্চা সংগ্রহ করতে পারেন। চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত উৎপাদন ক্ষমতা না থাকায় নিয়মিতই ভিড় লেগে থাকে এবং আগে থেকে বুকিং দিতে হয় বাচ্চার জন্য। 
দেশী ব্লাক
দেশী ব্লাক
প্রায় ১০ একর জায়গায় ১৬টি সেড নিয়ে এই খামারটি। এখানে প্রথমে বাচ্চা অবস্থায় ব্রুডিং সেডে ২ মাস পর থেকে  বাড়ন্ত সেডে এবং পরবর্তিতে লেয়িং সেডে স্থানান্তর করা হয় এদের বাকি সময়ের জন্য। একটি খাদ্য গুদামও রয়েছে খাবার সংরক্ষনের জন্য। আরো আছে ২টি পুকুর। তবে এখানে হাঁস পালা হয় সম্পুর্ন আবদ্ধ অবস্থায় তৈরি খাবার সরবারহ করে। আছে একবারে ৩,০০০টি ডিম ফুটানর মত ইলেক্ট্রিক হ্যাচিং মেশিন। এখানে উল্লেখ্য যে বচ্চার মাসিক চাহিদা প্রায় ১০,০০০টি এর মত। বর্ষার আগে মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন এ কয় মাস থাকে বছরের সর্বোচ্চ উৎপাদন ও বিক্রয়।
বাচ্চা সংগ্রহের সময় বাচ্চা পরিবহনের জন্য কাগজের কার্টুন, ঝুড়ি বা প্লাস্টিকের খাঁচা ক্রেতাকে সাথে করে নিয়ে আসতে হবে। সকাল ৮টার মধ্যে খামারে উপস্থিত থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে।
বর্তমানে যেসব প্রজাতির হাঁস এ খামারে পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হলো ডিম উৎপাদনের জন্য জিনডিং, দেশি ব্লাক, দেশি হোয়াইট, মাংশের জন্য বেইজিং ও মাসকুভী। মাসের ৭, ১৪, ২১ ও ২৮ তারিখে বাচ্চা সরবারহ করা হয়। 
যোগাযোগ করুন 
  1. নারায়নগঞ্জ ঃ- ফজলুল হক মোঃ নংঃ - ০১৭ - ১২০৪৪৮৬২
  2. গোপালগঞ্জ ঃ-  ০১৭ - ১১২২০৪৩০
  3. কেন্দ্রীয় হাঁস প্রজনন খামার, দৌলতপুর, খুলনা ঃ- ০৪১ - ৭৬২৪১৮
  4. এছাড়াও কিশোরগঞ্জের একজন ব্যক্তিগত খামারি ঃ-  সোহাগ ভাইঃ- ০১৭ - ৯৮৪৪১৮৮
  5. নরসিংদির আরো একটি বিশাল খামার নিয়ে আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশের চেষ্টা করব।
আজ এ পর্যন্তই, ইনশা-আল্লাহ হাঁসের ব্রুডিং বিষয় নিয়ে ফিরছি খুব শিঘ্রই। আর বিস্তারিত ছবি পেতে লাইক করুন আমাদের ফেইসবুক পেইজ – http://facebook.com/khetkhamaar

Mar 15, 2013

Angus

এদের আদি উৎপত্তি স্কটল্যান্ডের এঙ্গাস কাউন্টিতে। এরা কষ্ট সহিষ্ণু ও কঠোর আবহাওয়ায় প্রতিরোধি হয়। সাধারনত সান্ত স্বভাবের হয়। Angus মাংশের জন্য আমাদের দেশে পালন উপযোগি জাত। এদেরকে শক্তি উৎপাদনকারী গরু হিসাবেও বলা হয়। এরা বেশ তড়াতাড়ি গর্ভধারন করতে পারে এবং এদের মাতৃত্ব গুনও ভাল। নিত্য ঘাস পরিবর্তনে এদের তেমন অসুবিধা হয় না। দুগ্ধ উৎপাদন খমতাও ভাল। এরা অল্পে সন্তুষ্ট থাকে।  তাই এদেরকে খামারে পালন করা অত্যান্ত উপযোগী। 

পাতলা ও কালো চামড়ার কারনে বেশি গরম শোষন করে এবং খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে। তাই এরা গ্রীষ্ম মন্ডলীয় জলাবায়ুর থেকে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের জন্যই বেশি উপযোগী। এমন কি বরফ ঠান্ডায়ও দিব্যি ভাল থাকে। 

এরা নাক থেকে লেজ পর্যন্ত নিকষ কাল হবে। তবে যুক্তরাস্ট্রে এঙ্গাসের একটি লাল জাত রয়েছে। কখনও কখনও ওলান সাদা হতে পারে এবং পেটের নিচে নাভির পিছনের অংশে সামান্য সাদা থাকতে পারে।

পেটানো শরীর হবে এদের। পুরুষ গুলোর ঘাড়ে পেশিযুক্ত ক্রেস্ট এর মত থাকে। কিন্তু গাভির ক্ষেত্রে তা থাকে না। সাধারনত স্ত্রিদের ওজন ৪৫০-৫৫০ কেজি এবং পুরুষদের ওজন ৮০০-১০০০ কেজি হয়। তবে আজকাল উন্নত ব্যবস্থাপনায় স্ত্রীগুলো ৮০০ এবং পুরুষের প্রায় ১৫০০কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

এদের বিশেষ বৈশিষ্ট হল এদের শিং হয় না। ইংরেজীতে যাকে পোল্ড কাউ বলা হয়। এঙ্গাসের চেহারা এবং এমনই অনবদ্য যে সাধারনত বলা হয়ে থাকে “দেখতে এঙ্গাসের মত”। এদের সব সময় প্রফুল্ল দেখায়। কপাল চওড়া হয় মুখের দিকটা তুলনামুলক সরু নাকের অগ্রভাগ খুব মসৃন হয়। মাথা দেহের তুলনায় দেখতে ছোট হয়।

Mar 13, 2013

Holstein friesian

এদের উৎপত্তি সাধারনত হল্যান্ডে তাই এদের জাতের নাম দেয়া হয়েছে হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান। এই জাতের উৎপত্তি ঠান্ডা দেশে তাই এদের শরীর ঠান্ডা রাখতে উপযুক্ত খাবার দিতে হয়। এদের স্ত্রীদের ওজন ৮০০-৮৫০কেজি ও পুরুষদের ওজন ৮৫০-৯০০কেজি হয়ে থাকে। বাছুরের ওজন ২২-২৫কেজি। এদের দৈনিক দুঢ উৎপাদন ক্ষমতা ৪০-৪৫লিঃ এবং দুধে চর্বির পরিমান ৩.৫%।
এদের গায়ের রঙ সাধারনত সাদা-কাল। পায়ের খুরের বৃদ্ধাঙ্গুলির উপর সাদা রেখা দেখেও এদের চিনা যায়। তাছাড়া সম্পূর্ণ কাল গরুর ওলানে সাদা ও সম্পূর্ণ সাদা গরুর ওলানে কাল দাগ থাকবে জাতের চিহ্ন হিসাবে।
এদের শরীর থলথলে, চর্বি যুক্ত, মোটা চামড়া এবং আল্প পরিশ্রমী। এরা সাধারনত দানাদার ও আঁশ জাতীয় খাবার খেতে বেশ পছন্দ করে। এদের স্ত্রীরা সাধারনত শান্ত তবে পুরুষগুলো বদ মেজাজী হয়। এরা সাধারনত ২.৫-৩ বছরের মধ্যে গর্ভ ক্ষমতা রাখে। এদের বিশেষ রসালো আঁশ জাতীয় খাবার। বাংলাদেশের আবহাওয়ার সাথে এরা মানিয়ে নেয়ার উপযোগী। নিয়মিত টিকা প্রয়োগ করলে এদের সাধারনত কোন রোগ দেখা যায় না। এরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে এবং এদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এদের চুট নেই।