s স্বাবলম্বী বাংলাদেশ - তবে একলা চলরে: Angus

Mar 15, 2013

Angus

এদের আদি উৎপত্তি স্কটল্যান্ডের এঙ্গাস কাউন্টিতে। এরা কষ্ট সহিষ্ণু ও কঠোর আবহাওয়ায় প্রতিরোধি হয়। সাধারনত সান্ত স্বভাবের হয়। Angus মাংশের জন্য আমাদের দেশে পালন উপযোগি জাত। এদেরকে শক্তি উৎপাদনকারী গরু হিসাবেও বলা হয়। এরা বেশ তড়াতাড়ি গর্ভধারন করতে পারে এবং এদের মাতৃত্ব গুনও ভাল। নিত্য ঘাস পরিবর্তনে এদের তেমন অসুবিধা হয় না। দুগ্ধ উৎপাদন খমতাও ভাল। এরা অল্পে সন্তুষ্ট থাকে।  তাই এদেরকে খামারে পালন করা অত্যান্ত উপযোগী। 

পাতলা ও কালো চামড়ার কারনে বেশি গরম শোষন করে এবং খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে। তাই এরা গ্রীষ্ম মন্ডলীয় জলাবায়ুর থেকে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের জন্যই বেশি উপযোগী। এমন কি বরফ ঠান্ডায়ও দিব্যি ভাল থাকে। 

এরা নাক থেকে লেজ পর্যন্ত নিকষ কাল হবে। তবে যুক্তরাস্ট্রে এঙ্গাসের একটি লাল জাত রয়েছে। কখনও কখনও ওলান সাদা হতে পারে এবং পেটের নিচে নাভির পিছনের অংশে সামান্য সাদা থাকতে পারে।

পেটানো শরীর হবে এদের। পুরুষ গুলোর ঘাড়ে পেশিযুক্ত ক্রেস্ট এর মত থাকে। কিন্তু গাভির ক্ষেত্রে তা থাকে না। সাধারনত স্ত্রিদের ওজন ৪৫০-৫৫০ কেজি এবং পুরুষদের ওজন ৮০০-১০০০ কেজি হয়। তবে আজকাল উন্নত ব্যবস্থাপনায় স্ত্রীগুলো ৮০০ এবং পুরুষের প্রায় ১৫০০কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

এদের বিশেষ বৈশিষ্ট হল এদের শিং হয় না। ইংরেজীতে যাকে পোল্ড কাউ বলা হয়। এঙ্গাসের চেহারা এবং এমনই অনবদ্য যে সাধারনত বলা হয়ে থাকে “দেখতে এঙ্গাসের মত”। এদের সব সময় প্রফুল্ল দেখায়। কপাল চওড়া হয় মুখের দিকটা তুলনামুলক সরু নাকের অগ্রভাগ খুব মসৃন হয়। মাথা দেহের তুলনায় দেখতে ছোট হয়।

No comments:

Post a Comment